শেখ হাসিনার ডিক্টেশনে খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হয়নিঃ রিজভী

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, ‘‘গুরুতর অসুস্থ ৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে শেখ হাসিনার ডিক্টেশনে, অ্যাটর্নি জেনারেল সেটি লিপিবদ্ধ করে আদালতকে দিয়ে বাস্তবায়ন করতে বাধ্য করেছেন। সর্বোচ্চ আদালতে একজন মহিয়সী নারীকে জামিন না দেয়া সাম্প্রতিক কালের সেরা নিষ্ঠুরতা।’’ 

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির নয়াপল্টন অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘‘অবৈধ সরকারের চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে দেখে আবারো অস্থির হয়ে গেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আবারো উদ্ভট, বানোয়াট, আজগুবি মামলার প্লাবন বইয়ে দিচ্ছে। সরকারের মতো পুলিশরাও এখন গায়েবী তথ্য উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে সিনিয়র নেতাদের নামে একের পর এক মামলা দিয়েই যাচ্ছে। মৃত ব্যক্তি, কারাবন্দী নেতাদেরও গায়েবী মামলার পাইকারি আসামি করা হচ্ছে। সরকার বর্তমানে নতুন কোন ইস্যু পাচ্ছে না। তাই আগের মতো আবার আগুনের খেলা শুরু করছে। বুধবার মধ্যরাতে এই মধ্যরাতের ভোট ডাকাত সরকার তাদের ‘খয়ের খাঁ’ পুলিশকে দিয়ে আমাদের ১৩৫ জন নেতাকে আসামী করে মোটরসাইকেল পোড়ানোর উদ্ভট দুই মামলা করেছে।’’ 

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, হাইকোর্টের সামনে মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনায় ১৩৫ জনের মধ্যে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার বহুদিন ধরে জেলে। গত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজ কারাগারে অথচ তাকেও আসামি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, জয়নাল আবেদিন (খালেদা জিয়ার আইনজীবী), শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ প্রায় সব নেতার নামে। এই মামলা সুপরিকল্পিত এবং গায়েবী মামলা। এই সমস্ত ঘটনায় যে সরকারের লোকেরাই জড়িত সেটির অতিতে অনেক নজীর রয়েছে, তাদের লোকেরা সেটি স্বীকার করেছেন।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু