বুথফেরত জরিপ নিয়ে শঙ্কিত বিজেপি

ই-বার্তা ডেস্ক।।  লোকসভা নির্বাচনে বুথফেরত জরিপ বলছে আবারও ক্ষমতায় আসছে বিজেপি।  কিন্তু এই জরিপকে অনেক বিজেপি নেতা দেখছেন শুধু একটা পরিসংখ্যান হিসেবে।  এটাকে চুড়ান্ত ফলাফল হিসেবে মানতে নারাজ তারা।    

বিজেপি নেতা গডকড়ী প্রকাশ্যেই বললেন, ‘‘বুথফেরত সমীক্ষা শেষ অঙ্ক নয়।  এটি একটি ইঙ্গিত।’’  যদিও এরই সঙ্গে জুড়েছেন, ‘‘দেশের জনতা বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীর পাঁচ বছরের কাজের উপর ভরসা রেখে ভোট দিয়েছেন।  নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এনডিএর সরকার হবে।’’

শাহের ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘‘সভাপতি যা বলার ২৩ মে আসল ফলের পরেই বলবেন।’’ ঘরোয়া মহলে অবশ্য দলের অনেক নেতাই এখনও পুরোপুরি আশ্বস্ত নন। তাঁদের অনেকেই মনে করছেন, বাস্তব যা পরিস্থিতি, তাতে তিনশো পার করা কঠিন।  সে ক্ষেত্রে যদি সরকার গড়ার জন্যও আরও শরিক প্রয়োজন হয়? সে কারণে এখন থেকেই আগ বাড়িয়ে উত্তেজনা দেখানো ঠিক নয়।  যে-সব সমীক্ষা গত কাল এনডিএ-কে তিনশো পার করিয়েছে, তাদের অনেকে আবার আসন-বিন্যাস দেখানো বন্ধ করেছে।  হিসেবে গরমিল আসতেও শুরু করেছে।

তবে বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে ব্লগ লিখেছেন অরুণ জেটলি।  এই সমীক্ষার ফল যে তিন দিন পর মিলতে পারে, তাল ঠুকে তেমনটি বলতে না পারলেও একে ঢাল করে গাঁন্ধী পরিবার থেকে বিরোধীদের এক হাত নিয়েছেন তিনি।  জেটলির যুক্তি, ‘‘যখন অনেক বুথ-ফেরত সমীক্ষা একই বার্তা দেয়, আসল ফলও সেই দিকেই এগোয়।  যদি এই সমীক্ষার সঙ্গে আসল ফল মিলে যায়, তা হলে ইভিএম নিয়ে বিরোধীরা যে ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছিল, সেটা অসার বলে প্রমাণিত হবে। পরিবারতান্ত্রিক দল, জাতিগত দল, বাধা তৈরি করা বামেরা ২০১৪ সালেও ধাক্কা খেয়েছে, এ বারেও তাই হবে।’’ এর পরেই গাঁধী পরিবারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘কংগ্রেসের প্রথম পরিবার আর সম্পদ নয়।  পরিবার ছাড়া তাঁরা ভিড় জোটাতে পারেন না।  আর পরিবার দিয়ে ভোট আনতে পারেন না।’’

কংগ্রেস নেতা শশী তারুর বলেন, ‘‘সদ্য অস্ট্রেলিয়ায় বুথফেরত সমীক্ষার ফল মেলেনি।  আমরা ২৩ তারিখের জন্য অপেক্ষা করব।’’ 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু