৩০০ কোটি টাকার বাড়ি ছাড়তে হবে মওদুদ আহমেদকে


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৪ঠা জুন ২০১৭, রবিবার  | দুপুর ১২:৩৩ রাজনীতি

ই-বার্তা ।। গুলশানের ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি ছাড়তেই হচ্ছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে।

রোববার এই বাড়ি নিয়ে করা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।

তবে, বাড়ি না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি আইনী লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

গত ৩১ মে শুনানি শেষ রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। গত বছর ২ আগস্ট মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদের নামে ওই বাড়ির নামজারির নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের আপিল গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ।

তার আগে ৩ আগস্ট গুলশানের বাড়ির অবৈধ দখলদার বলে মওদুদের বিরুদ্ধে দেয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে মওদুদ আহমেদকে রিভিউ আবেদন করতে বলা হয়েছে।

এর আগে রাজউকের করা এক আপিল আবেদন গ্রহণ করে মওদুদ আহমেদ বাড়িটির অবৈধ দখলদার বলে রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। একই সঙ্গে বাড়িটির সঙ্গে সম্পৃক্ত দুদকের করা অন্যান্য দুর্নীতি মামলা বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৪ সালের ১৪ জুন এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে তাদের আবেদন গত বছরের ২৩ জুন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন মওদুদ আহমদ। এ আবেদনের শুনানি শেষ হওয়ার পর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আপিল বিভাগ।

দুদকের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাড়িটির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির (রাজউক) কাছ থেকে এক বিঘা ১৩ কাঠার এ বাড়ির মালিকানা পান এহসান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের পাশাপাশি তার স্ত্রী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন এহসান। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়।

এরপর ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট মওদুদ তার ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মঞ্জুরের নামে একটি আমমোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজনীতি এর আরও সংবাদ