ব্রাজিলের র্স্বণযুগে একজন পেলে !


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১১ই জুন ২০১৭, রবিবার  | দুপুর ০২:৪১ ফুটবল

ই-বার্তা।। দুর্দান্ত শর্ট, জাদুকারী ছন্দ, নিখুঁত পাস আর অমায়িক ব্যবহারে মুদ্ধ করেছিল বিশ্ববাসীকে। ফুটবল বিশ্বে নক্ষত্রের মত স্মরনীয় হয়ে আছেন, থাকবেন। যার হাত ধরে ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের যাত্র শুরু করে ব্রাজিল। জিতেছেন ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০ সালের ফিফা। হয়তো এ কারনেই তাঁর নাম রাখা হয়েছিল পেলে। তাঁর পূর্ণ নাম এদসোঁ আরাঁচ দু নাসিমেঁতু। তাঁকে ফুটবলের সম্রাট বলা হয়। তিনটি বিশ্ব কাপ জেতা একমাত্র খেলোয়ার তিনি।

১৯৫৭ সালে ৭ জুলাই আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন পেলে।২-১ ব্যবধানে হারের সেই ম্যাচে ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম গোল করে পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার স্থান দখল করেন।

কিছুদিন পর ১৯৫৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হয়। ব্রাজিল জাতীয় দল থেকে ডাক আসে। প্রতিযোগিতার তৃতীয় খেলাই সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে পেলে প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে করা গোলটি ছিল প্রতিযোগিতায় পেলের প্রথম এবং সেই ম্যাচের একমাত্র গোল, যার সাহায্যে


ব্রাজিল সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। সে ম্যাচের সময় পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৩৯ দিন, বিশ্বকাপের গোলদাতাদের মধ্যে সবচেয়ে কম।

১৯৬২ বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৭০ সালে পেলে তাঁর চতুর্থ বিশ্বকাপের শেষটি খেলে। ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে আবারও চ্যাম্পিয়ণ ব্রাজিল। ১৯৫৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত টানা চারটি টুর্নামেন্টের তিনটিরই ট্রফি ওঠে ব্রাজিলের ঘরে। দল তিনবার শিরোপা জেতায় জুলে রিমে ট্রফিটা একেবারেই দিয়ে দেওয়া হয় ব্রাজিলকে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন পেলে। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপের পর নিজেকে সর্বকালের সেরা ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেন পেলে।

৪টি বিশ্বকাপ খেলে গোল করেন ১২টি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১১১ ম্যাচ খেলে পেলে করেছেন ৯৭ গোল। আর লীগ মিলিয়ে ফুটবলে পেলের মোট গোল ১৩২৪ ম্যাচে ১২৮২টি। পেলের একটা বড় গুণ ছিল, তিনি সব পজিশনেই খেলতে পারতেন। ফুটবলের কিংবদন্তি, বিশ্বকাপের মহানায়ক, ব্রাজিলের ‘কালো মানিক’, ফুটবলের রাজা পেলের তুলনা পেলে নিজে। রাজা আসে রাজা যায় কিন্তু পেলেকে সিংহাসনচ্যুত হতে হয়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

ফুটবল এর আরও সংবাদ