অস্থির চালের বাজার গুদামে গুদামে অভিযান


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৭, সোমবার  | দুপুর ০২:৩০ অপরাধ

ই-বার্তা ।। গত কয়েকদিনের টানা মূল্য বৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে চালের বাজার। আমদানি শুল্ক ২৮ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা, বিদেশ থেকে জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানির পরও বাগে আসছে না চালের বাজার। উল্টো বেড়েই চলেছে দাম। মোটা চালের কেজি আবারও ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। আর চিকন চালের কেজি ৭০ টাকায় ঠেকেছে। চালের এ লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির জন্য একটি সিন্ডিকেট দায়ী। কারসাজি করে চক্রটি দাম বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে সিন্ডিকেটের হোতা শনাক্ত হয়েছেন। তাদের ধরতে খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে দুই হোতার মিলে পুলিশ অভিযানও চালিয়েছে।

চলতি বছরের শুরু থেকে দাম বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। মাঝে আমন ধান ওঠার সময় এবং আমদানির কারণে চালের দাম নামমাত্র কমলেও এখন পরিকল্পিতভাবে আবার বাড়তে শুরু করেছে দাম। এখন একেবারে চালকল বা খামার পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি-খুচরা সব পর্যায়েই বাড়ছে চালের দাম। এভাবে গত ৮ মাস ধরে বাজারে চালের দামে লাগামহীন নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এর প্রভাবে গত ৮ মাসে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ টাকার উপরে। সরকার কোনোভাবেই এ নৈরাজ্যের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না। এমনকি সারা দেশে চালের গুদামে অব্যাহত অভিযান চালিয়েও কাক্সিক্ষত সুফল আসছে না। এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। বিশেষ করে বাড়তি টাকায় চাল কিনতে গিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আয় না বাড়ায় পরিমাণে কম কিনে কম খেয়ে ব্যয় সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন নিন্ম আয়ের মানুষ।

এদিকে গুদামে অতিরিক্ত চাল মজুদের অভিযোগে বাংলাদেশ অটোরাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠছেন। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে তারা চাল আমদানি কিংবা ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন। এ পরিস্থিতিতে উভয় সংকটে সরকার।

সর্বশেষ সংবাদ

অপরাধ এর আরও সংবাদ