ময়মনসিংহে গলাকেটে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার  | দুপুর ০২:০০ অপরাধ

ই-বার্তা।। ময়মনসিংহে প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রলীগ কর্মী মামুনুর রশিদ শাওনকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মোস্তাককে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম।

জানা যায়, গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার মোস্তাক ও তার ছেলে মিলে শাওনকে হত্যা করেন। পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্যের বিষয়কে কেন্দ্র করে এঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার পরপরই শহরতলির কাঠগোলা এলাকার একটি বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, কাঠগোলা এলাকার ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে একাধিক মামলার আসামি মামুনুর রশিদ শাওন মাদকসেবী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। সে দুই-আড়াই মাস জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পায়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাওনের সঙ্গে ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে হৃদয়ের দ্বন্দ্ব চলছিল। বুধবার বেলা ১২টার দিকে শাওন তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে প্রতিপক্ষ মোস্তাকের বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। এ নিয়ে মোস্তাকের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মোস্তাক ও তার ছেলে হৃদয় বাড়ি থেকে দা নিয়ে এসে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় শাওন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। পরে বেলা ১টার দিকে তাকে পার্শ্ববর্তী ঢোলাদিয়া এলাকার ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পেছনে নিয়ে হাত-পা কেটে জবাই করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ আগাছার ঝোপের একটি গর্তে ফেলে রাখে তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ বিকাল ৩টার দিকে ওই গর্ত থেকে শাওনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত মোস্তাক কৃষক লীগ ও তার ছেলে হৃদয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. সব্যসাচী জানান, জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য ছিল শাওন। সে সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছেড়ে দিয়ে ভালো পথে চলার চেষ্টা করছিল এবং কয়েক মাস ধরেই সে সুস্থ ধারার রাজনীতি করছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

অপরাধ এর আরও সংবাদ