বিয়ের লোভে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৮ই নভেম্বর ২০১৭, বুধবার  | দুপুর ১২:৪৫ অপরাধ

ই-বার্তা ।। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের আরাজী পাহাড়ভাঙ্গা এলাকায় রবিউল ইসলাম নামে এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ম শ্রেনীর এক কিশোরীকে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীকে ভর্তি করা হয়েছে।

কিশোরীর মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আরাজী পাহাড়ভাঙ্গা এলাকায় খমির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে গত এক বছর যাবত। বিষয়টি এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারলে ইউপি সদস্য নাসিরুলকে অবহিত করি।

পরে ইউপি সদস্য বখাটে রবিউল ইসলামকে চৌকিদার দিয়ে ধরে নিয়ে আসে। রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে ওই পরিবারকে মীমাংসার প্রস্তাব দেয়। রাত গড়িয়ে বিষয়টি সুরাহা না হলে ইউপি সদস্য নাসিরুল চৌকিদার সাইদুর রহমানের হেফাজতে একটি ঘরে রবিউলকে আটকে রাখে।

নির্যাতীতা শিক্ষার্থী জানান, রবিউল বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমি অন্তসত্ত্বা হয়ে গেলে সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয় না। উল্টো গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে নিরূপায় হয়ে আমার প্রতিবেশির মাধ্যমে আমার পরিবারকে জানাই। রবিউল ইসলাম যে আমাকে বিয়ে করে, আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট হোক আমি চাই না। যেন কোন মেয়ে কারো প্রলোভনে এমন ভুল না করে।

এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার সকালে উঠে দেখে রবিউল ইসলামকে পালিয়েছে। পরে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা বলেন।

ইউপি সদস্য নাসিরুল ইসলাম জানান, রবিউল কিশোরীকে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বার কথা স্বীকার করলে তাকে চৌকিদারের হেফাজতে একটি ঘরে রাখা হয়। সেখান থেকে কৌশলে সে পালিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান নির্যাতীতা কিশোরীকে দেখতে। তিনি এ সময় দ্রুত বখাটে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করেন। ৭ম শ্রেনীর ওই অন্তসত্ত্বা কিশোরী নিরাপত্তার জন্য দু’জন নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

অপরাধ এর আরও সংবাদ