চালকদের রেষারেষিতে যাত্রীর ভোগান্তি, প্রয়োজন গণসচেতনতা


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৪শে এপ্রিল ২০১৭, সোমবার  | সন্ধ্যা ০৭:২২

আকরাম হোসেন।।
ঢাকাবাসীর জন্য যানজট এক নিত্য সঙ্গী। গন্তব্যস্থানে যেতে কত সময় লাগবে সেটার অনিশ্চয়তা নিয়েই রাস্তায় বের হতে হয়। কয়েক মিনিটের পথও কয়েক ঘন্টা লেগে যায়। যানজটের পেছনে কিছু যৌক্তিক কারণের পাশাপাশি কিছু অযৌক্তিক কারণও আছে। কিছু মানুষের অসতর্কতা, কিছু মানুষ ইচ্ছা করে, কিছু মানুষ নিজের অজান্তে যানজট সৃষ্টি করে যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে।

অনেক সময় দেখা যায় রাস্তার মধ্যে বাস আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হচ্ছে। এসময় পেছনের গাড়ি আটকানোর জন্য আড়াআড়ি ভাবে দাঁড় করিয়ে রাস্তা বন্ধ করে থাকে বাস চালকেরা। তাঁদের মধ্যে সবসময় যাত্রী ওঠানোর একটা প্রতিযোগিতা চলে। আর এই প্রতিযোগিতার জন্য একটি বাস পেছনের কোন বাসকে আগে যেতে দেয় না। সাধারনত একই রুটে চলাচল করা দুটি বাস চালকদের মধ্যে এই প্রতিয়োগিতা হয়ে থাকে। যতক্ষণ পারা যায় পিছনের বাসকে আটকিয়ে রাখে। এ সময় রাস্তা সামনের দিকে ফাঁকা থাকার পরও পিছনের দিকে জ্যাম লেগে যয়। যাত্রী ওঠানো নিয়ে দুই বাস চালকের এই প্রতিযোগিতায় রিক্সা, সিএনজি, প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যান আটকা পরে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটছে, জান-মালের ক্ষতি হচ্ছে । কিছু দিন আগে ধানমন্ডির ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে এক পথচারীর জীবন দিতে হল চালকদের রেষারেষিতে। তার কিছুদিন আগে মিরপুরে এক মা ও সন্তানকেও একই অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় ।

কৃত্রিম ভাবে সৃষ্টি যানজট ও দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য চালকদের মধ্যে সচেতনাতা প্রয়োজন। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সিটি কর্পোরেশন ও বিআরটিসির উদ্যোগের প্রয়োজন। চালকদের গাড়ি চালানোর ছাড়পত্র দেওয়ার সময় এই বিষয় নিয়ে বার বার ঝালাই করার যেতে পারে। এর ক্ষতিকর দিক সুন্দরভাবে তুলে ধরে চালকদের বোঝানো প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে নতুন আইন করা যেতে পারে। এসবের পাশাপশি সাধারণ যাত্রী এ ব্যাপার গুলোতে সচেতন হলে কিছুটা হলেও যানজট কমিয়ে আনা সম্ভব।

সর্বশেষ সংবাদ

১ এর আরও সংবাদ