৩০ ছুঁলেন সাকিব আল হাসান


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৪শে মার্চ ২০১৭, শুক্রবার  | রাত ০১:০১ ক্রিকেট

মামুন রণবীর : ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ,মাশরুর রেজা এবং শিরিন আখতারের ঘর আলোকিত করে জন্ম হলো এক শিশুর।নাম রাখা হলো সাকিব আল হাসান। সেদিন সাকিব কেবল একটি ঘর আলোকিত করেছিলেন আর এখন আলোকিত করে চলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটকে।আজ তার ৩০তম জন্মদিন।




বাবা চেয়েছিলেন ছেলে ফুটবলার হোক কিন্তু যার মাথায় ক্রিকেটের পোকা তাকে কি ৯০ মিনিটের ফুটবল ছকে বেঁধে রাখা যায়? তাইতো বিকেএসপির হাত ধরে সাকিব শিখলেন ক্রিকেট ব্যাকরণ । ওই ব্যাকরণ শিখে সাকিব যে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবেন তা কি কেউ জানতো? সাকিব নিজেও কি জানতেন? হয়তো জানতেন।পরিশ্রম করলে মনের ভেতর পুষে রাখা তীব্র বাসনাটা একদিন পূর্ণ হয়। এই তত্ত্বকে সার্থক প্রমাণ করা মানুষের মধ্যে অনন্য সাকিব।তিনিতো কেবল রেকর্ড গড়তে পছন্দ করেন । সর্বদা নতুন কিছু করতে পারাটা যেন তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একটা ইন্টারভিউতে সাকিব বলেছিলেন ‘আমার কাজ খেলা তাই আমি খেলি।’
যিনি এমন কথা বলতে পারেন তিনি ক্রিকেটটাকে কতোটা ভালোবাসেন তা সহজেই অনুধাবন করা যায়।




বাংলাদেশের ৮২তম খেলোয়ার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের।দিনটা ছিল ৬ আগষ্ট ২০০৬ । প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে । সেই শুরু ।এরপর যেন সামনে চলার ক্রিকেটীয় মিছিল। এ মিছিলে সাকিব নিজেকে চেনালেন সেরা হিসেবে। তাইতো সেরা অলরাউন্ডারের মুকুটটা বারবার তার কাছেই ফিরে আসে।এই অলরাউন্ডার টি টোয়েন্টির ক্যাপ পড়েন ২৮ নভেম্বর ২০০৬ সালে।প্রতিপক্ষ সেই জিম্বাবুয়ে।সাকিবের টেস্ট অভিষেক হয় ভারতের বিপক্ষে। ২০০৭ সালের ১৮ই মে।


প্রতি ম্যাচে নিজস্বতার ছাপ রাখা সাকিব ১৬৬ ওয়ানডে খেলে রান করেছেন সাড়ে চার হাজারের উপর। উইকেট ২২০টি।৪৯ টেস্টে তার রান ৩৪৭৯। উইকেট নিয়েছেন ১৭৬ টি। ৫৭ টি-টোয়েন্টিতে সাকিব রান করেছেন ১১৫৯। আর উইকেট সংখ্যা ৬৭টি।সব ফরম্যাট মিলিয়ে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ১১ টি। হাঁফ সেঞ্চুরি করেছেন ৫৯ টি। (এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত)




ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আলো ছড়ানো সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দিয়ে যাচ্ছেন অনেক। বিভিন্ন দেশে ক্রিকেটের প্রায় সব টুর্নামেন্ট খেলা বাংলার এ রত্ন ক্রিকেটকে দিয়ে যাবেন অনেক একথা বলাই যায়।সদ্য ৩০ ছোঁয়া সাকিব খেলে যাবেন নিরন্তর । টাইগার ক্রিকেটকে নিয়ে যাবেন নিজ ইচ্ছের চূড়ায়।

সর্বশেষ সংবাদ

ক্রিকেট এর আরও সংবাদ