অসত্য তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্ত হলে আদেশ বাতিল: শিক্ষামন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক।।   শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মন্তব্য করেছেন, অসত্য তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্ত হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত আদেশ কার্যকর হবে না। বরং অসত্য তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি বিভ্রান্তির কারণে এমপিও পাওয়া প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জারি করা আদেশও কার্যকর হবে না।

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) আয়োজিত এক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শতভাগ নিয়মকানুন অনুযায়ী যোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য সব কার্যক্রম গ্রহণ করে। সাড়ে ৯ বছর পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে ২ হাজার ৭৩০টিকে এমপিওভুক্ত করেছে। ২৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, গত বছরের আগস্টে স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে অনলাইনে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আবেদন নেয়া হয়। বুয়েটের তৈরি একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো বেছে নেয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী চার শর্ত পূরণ করা প্রতিষ্ঠান উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তি সাপেক্ষে এমপিও পেয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে- প্রতিষ্ঠানের বয়স বা স্বীকৃতির মেয়াদ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাসের হার।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব শর্তের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের দেয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হারের তথ্য শিক্ষা বোর্ড থেকে যাচাই করা হয়। স্বীকৃতি সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে গিয়ে বেশকিছু ভুল তথ্য পাওয়া যায়, যা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় অসত্য তথ্যের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে ভুলের কারণে যাতে কোনো অযোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে না পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এমপিওর আদেশে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্য যাচাই সাপেক্ষে এমপিও কার্যকর করা হবে। দেয়া তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।