ধোঁয়া বেরোতে না পারায় ও সরু সিঁড়ি বেশি প্রাণহানির কারন

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ধোঁয়া বের  হওয়ার পথ না থাকায় বনানীর এফআর টাওয়ারে বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে মনে করছে অগ্নিকা-ে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া   ভবনটির জরুরি বহির্গমন সিঁড়িও ছিল খুবই সরু।  এটিও একটি বড় কারণ বিপুল প্রাণহানির পেছনে ।

গতকাল শনিবার অগ্নিকা-ের শিকার এফআর (ফারুক-রূপায়ণ) টাওয়ার পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির আহ্বায়করা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব ফয়জুর রহমান বলেন, এফআর টাওয়ারে ধোঁয়া বের হওয়ার কোনো পথ ছিল না।

ফলে ধোঁয়া ভবনের সব ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যায়। কোনো ফ্লোরে আগুন নেভানোর মতো যন্ত্র ছিল না। দু-একটি এস্টিংগুইসার পাওয়া গেলেও সেগুলো ছিল অকার্যকর। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, সেখানে মৃত্যুফাঁদ তৈরি করে রাখা হয়েছে। কোন ফ্লোর থেকে আগুনের সূত্রপাত তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ভবনে ফায়ার হাইড্রেন্ট ছিল, কিন্তু সেটি ছিল অকার্যকর। ব্যবহার হয়নি। ভবনটির ৮, ৯ ও ১০ তলায় গেছি। কোথাও ফায়ার হাইড্রেন্ট কার্যকর দেখতে পাইনি। ভবনটির ফায়ার এক্সিট সরু, সিঁড়ি মাত্র ২৪ ইঞ্চি। এ কারণেও বেশি মানুষ মারা গেছে।

অগ্নিকা-ের সময়ের প্রকৃত অবস্থা জানতে ওই সময় ভবনে থাকা লোকজনের সঙ্গে তদন্ত কমিটি কথা বলবে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব ফয়জুর রহমান বলেন, যারা বিশেষ করে ৮, ৯ ও ১০ তলায় কাজ করতেন, তাদের আমরা আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা রবিবার পুলিশ কন্ট্রোলরুমে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা তাদের বক্তব্য শুনব।

গতকাল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কনফারেন্স রুমে এ বিষয়ে প্রথম সভা করেছে কমিটি। গত শুক্রবার অগ্নিদুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। গতকাল গিয়ে দেখা গেছে, বহুতল ওই ভবনে নেটিংয়ের কাজ চলছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো অংশ নিচে না পড়ে। বনানীতে পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে বাড্ডা জোনের এডিসি আহমেদ হুমায়ূন বলেন, ব্যবসায়ীরা শুক্রবার মালামাল সরিয়ে নেওয়ার পর ভবনটিতে এখন কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ