স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৯ই মে ২০১৭, মঙ্গলবার  | দুপুর ০২:২১ ঢাকা বিভাগ

পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী মিতু আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার পর মাদকাসক্ত স্বামী মোশারফ হোসেন আত্মহত্যা করেছেন।

মঙ্গলবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে এই ঘটনায় ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জে থানার ওসি (তদন্ত ) আবুল হোসেন জানান, জালকুড়ি এলাকার আহসান উল্লাহ সরদারের ছেলে মোশারফ হোসেন পরিবহন শ্রমিক। গত ১৬ বছর আগে বরিশালের চরমোনাই এলাকার কাসেম সরদারের মেয়ে মিতু আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ১৪ বছর বয়সী রায়হান এবং নয় বছর বয়সী মুন্নী নামের দুই সন্তান রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা সেবন করতেন। তার মাদক সেবন নিয়ে স্ত্রীর মিতু আক্তারের সঙ্গে প্রায়ই পারিবারিক কলহ হতো। এরই জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।

মেয়ে মুন্নি জানায়, বাবা এক রুমে ভাইকে নিয়ে ঘুমায়। আমি আর মা আরেক রুমে ঘুমাই। ভোরে বাবা আমাদের রুমে এসে মাকে হত্যার জন্য কোপানো শুরু করেন। মা ভয়ে খাটের নিচে গিয়ে অবস্থান নেন। আমি আর মা চিৎকার শুরু করি। বাবা আমাকে বুকের মধ্যে লাথি মেরে চুপ থাকতে বলেন। বাবা মাকে খাট ভেঙে সেখানে থেকে টেনে এনে বটি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নাড়িভুড়ি বের করে ফেলেন।

পরে বাবা বলে মা মরার দেখছস এবার আমি কারেন্ট জড়িয়ে কিভাবে মরি তা দেখবি। আমি চিৎকার করছি বলে বাবা আমার মুখে বুকে লাথি মেরে আমাকে বাথরুমের ভেন্টিলেটার দিয়ে ঘরের বাইরে ফেলে দেন। পরে বাবা ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত মোশাররফ হোসেনের বড় ভাই নূর সালাম জানান, আমরা চিৎকার করে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি ঘরের দরজা তালা বন্ধ। অনেক চেষ্টা করেও দরজা ভাঙা যায়নি। এক পর্যায়ে মোশারফ ঘরের দরজা ও জানালায় বিদ্যুতের তার ঝড়িয়ে দেয়। সে মাদকাসক্ত ছিল। প্রায়ই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সষ্টি হতো।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিভাগ এর আরও সংবাদ