কাতার অবরোধে লাভ হয়নি সৌদির !


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১৪ই জুলাই ২০১৭, শুক্রবার  | রাত ০৯:৩৮ মধ্যপ্রাচ্য

ই-বার্তা।। কাতারের উপরে অবরোধ আরোব করে সৌদির লাভ হয়নি বরং অবরোধের কারণে কাতারকে সৌদির আঞ্চলিক শত্রু ইরান-তুরস্কোর হাতে তুলে দিয়েছেন বলে মনে করেন, ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনে বিশ্লেষক জেফরি স্ট্যাসি এবং বাসিমা আলগুসেন। শুরু থেকেই সৌদি আরব ও তার সহযোগীরা ভুল করছে। আবরোধের ফলে একঘরে হয়ে পড়া কাতারের ২৭ লক্ষ মানুষের জন্য প্রয়োজন ছিল খাদ্য, আর তা দিয়েছে ইরান-তুরস্কো।

এই বিশ্লেষকরা বলেন, অবরোধ আরোপের ফলে কাতার আর ইরানের মধ্যে কেবলই যে বাণিজ্য বেড়েছে তা নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও জোরদার হয়েছে।

এটা পরিষ্কার যা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, অবরোধ তা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে - এমন মন্তব্য করেছেন কাতারের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোরি মিলার। তিনি মরুরাজ্য থেকে বৈশ্বিক শক্তি: উপসাগরীয় আরবের উত্থান’ শীর্ষক একটি বই লিখেছেন। এমন কোন বিজয় তাদের ঘটেনি যার মাধ্যমে বলা যায় উপসাগরীয় অঞ্চলে সৌদি আরব-আমিরাতই সবচেয়ে চৌকস খেলোয়াড়। এছাড়া, এই সংকট কাতারকে তুরস্ক ও ইরানের আরও কাছে নিয়ে গেছে, বলছেন মিলার। তিনি আরও মনে করেন যে এই সংকটের কারণে আগামীতে কাতার হয়ত ইরান সম্পর্কে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের নীতি অনুসরণ করবে না।

এর আগে, ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশর কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেয়।তারা কাতারকে এই বলে অভিযুক্ত করে যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে মদদ যুগিয়ে কাতার উপসাগরীয় অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। কয়েকদিন পরে ইয়েমেন, লিবিয়া এবং মালদ্বীপ এসব দেশের সঙ্গে যোগ দেয়। আকাশ, সাগর আর ভূমিতে অবরোধ আরোপ করার পর কাতারের কাছে ১৩ দফা দাবি পেশ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত করা এবং আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব কঠোর পদক্ষেপের মূলে রয়েছে সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক। কাতার ইরানের সঙ্গে মিলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়ন করছে।

শক্তিশালী সৌদি আরব কাতারকে দেখছে এমন একটি বিরক্তিকর প্রতিবেশী হিসেবে যাদের রয়েছে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি এবং যারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেতে আগ্রহী।কিন্তু অবরোধ আরোপের পাঁচ সপ্তাহ পরেও কাতার দাবি মানেনি, বরং তারা ইরান ও তুরস্ক থেকে খাদ্য আমদানি করছে।

সর্বশেষ সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্য এর আরও সংবাদ