মা মামলা তুলে নিলে মেয়েকে বিয়ে করবে তুফান


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১লা আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার  | দুপুর ১২:৪৫ রাজশাহী

ই-বার্তা প্রতিবেদক।। হাসপাতালে ভর্তির পর সে রাতেই ধর্ষক তুফান লোক পাঠিয়েছিল বগুড়ায় নির্যাতিত মা-মেয়ের কাছে। মা কে বলা হয়েছে মামলা তুলে নিতে, তাহলে তুফান মেয়েটিকে বিয়ে করবে। আর তা না করলে তাঁদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে এমনটি হুমকিও দিয়েছে সেই লোক। এমনটি জানিয়েছেন নির্যাতিতা মা। এখন পুলিশের নিরাপত্তায় আছেন বলেই কেউ কিছু করতে পারছে না, কিন্তু হাসপাতাল থেকে ফেরার পরে তাঁদের জীবনের নিশ্চয়তা কে দিবে সেই দুশ্চিন্তায় অস্থির তিনি। এমনকি বগুড়া শহরে তাঁর এবং তাঁর মেয়ের পক্ষে আর থাকা সম্ভব না বলেও জানিয়েছেন তিনি। কারণ ঘটনার পর মহিলা কাউন্সিলর সহ বাকি আসামীরা একাধিকবার মা-মেয়েকে শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।

বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় বসে নির্যাতিতা মা-মেয়ের এভাবেই দিন কাটছে। তাঁদের চোখে মুখে অজানা আতঙ্ক। বারবার বিভিন্ন সাংবাদিকের ও পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন তাঁরা বিনা সংকোচে। রাজনৈতিক দলের নেতারা ও এলাকাবাসীরাও আসছেন তাঁদের দেখতে। নিজেদের জীবনের নিরাপত্তাই এখন তাঁদের একমাত্র চাওয়া। একমাত্র মেয়ের পড়ালেখা নিয়েও অনিশ্চয়তায় ভূগছেন অসহায় মা। এদিকে মেয়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সার্জারি বিভাগের প্রধান আবদুল মোত্তালিব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটিকে অনেক মারধর করা হয়েছে। শরীরের সাত-আট জায়গায় দাগ আছে। মেয়েটা এখনো ট্রমায় আছে। এটা কাটতে সময় লাগবে।

বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার ১৭ জুলাই মেয়েটিকে তাঁর ক্যাডার দিয়ে বাসায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন। প্রাণ ভয়ে মেয়ে তা প্রকাশ করেনি। এরপর ঘটনা প্রকাশিত হলে মা তাঁর মেয়েকে নিয়ে কাউন্সিলরের কাছে যান। কাউন্সিলর তাঁদের দেখেই মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। ফোন করে তুফানের লোকজনকে ডেকে আনে। ওরা এসে আবার মা-মেয়েকে অনেক মারধর করে। তুফানের বউ একটা কাঁচি নিয়ে এসে প্রথমে মেয়ের তারপর মায়ের মাথার চুল কেটে দেয়। তুফানের লোক আতিক ও মুন্না এরপর নাপিত নিয়ে এসে মা-মেয়েকে ন্যাড়া করে দেয় এবং বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই রাতেই তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হন।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজশাহী এর আরও সংবাদ