রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেছেন ওবায়দুল কাদের


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১৪ই আগস্ট ২০১৭, সোমবার  | বিকাল ০৩:০৯ রাজনীতি

ই-বার্তা ।। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার দুপুরের দিকে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওবায়দুল কাদের। সাক্ষাতের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, গত শনিবার রাতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বাসভবনে যান মন্ত্রী। সেখানে দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠকের বিষয়বস্তু আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে অবহিত করেছেন সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। সাক্ষাতের পর গতকাল রোববার সকালে গণভবনে গিয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে অবহিত করেন।

ওবায়দুল কাদেরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আরও বৈঠক হবে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়ে সরকার, রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে চলমান আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের সাক্ষাৎ হয়।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের পর্যবেক্ষণে আসা ‘অনভিপ্রেত’ বিষয়গুলো বাদ দেওয়াই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য বলে সূত্র জানিয়েছে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংক্ষুব্ধ হয়েছে। এই রায়, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থী আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগ মনে করছে, রায়ের পর্যবেক্ষণে রাজনীতি রয়েছে। এর পেছনে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। এ জন্য এই রায়কে যতটা সম্ভব প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে আসছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি।

২ আগস্ট ষোড়শ সংশোধনী বাতিলসংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর প্রায় এক সপ্তাহ সরকার ও আওয়ামী লীগ প্রায় নীরব ছিল। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় এই রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সরকারের মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে রায় নিয়ে সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজনীতি এর আরও সংবাদ