কাজের ক্ষেত্রে চাপ মোকাবেলা


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৬শে আগস্ট ২০১৭, শনিবার  | বিকাল ০৫:২৩ লাইফ

ই-বার্তা।। আত্মবিশ্বাসী থাকুন

আমি পারি নিজেকে এই কথাটা মনে করিয়ে দেয়া কেবল নিজেকে পুরস্কৃত করাই নয় এটি আপনার মুডও ভাল রাখবে। এটি মস্তিষ্কের স্ট্রেস হরমোন কার্টিসল নিঃসরণ ২৩% কমায় বলে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় জানা গেছে। প্রতিদিন যারা কমক্ষেত্রে চাপের মোকাবেলা করেন তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য এই নিঃসরণ কমাটা উপকারী। কাজেই কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী থাকুন যা প্রতিটি সফল মানুষ করে থাকেন।

দ্বিধা এড়িয়ে চলুন

দ্বিধা থেকে আসে উদ্বেগ। কি হতে পারে, যদি এমন হয় এসব ভাবনা এড়িয়ে চলুন। কর্মের ফলাফল হতে পারে বহুমাত্রিক। কাজেই আপনি সম্ভাবনা ভেবে সময় ব্যয় করলে কাজের মূল বিষয় থেকে মনোসংযোগ সরে যেতে পারে। সম্ভাবনা বেশি ভাবা থেকে বিরত থাকলে তা আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবে। প্রতিটি সফল মানুষই জানেন ‘কি’ ‘যদি’ এসব নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা তাদের ভুল পথে পরিচালিত করবে। ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে উদ্বেগমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। আপনার মস্তিষ্ককে উদ্বেগমুক্ত রাখতে তাকে ইতিবাচক চিন্তার খোরাক সরবরাহ করুন। যখন পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূলে তখনও সারাদিনের ঘটনা থেকে যে কোন পজিটিভ দিক বেছে নিন। তা নিয়ে ভাবুন। হোক সেটি ক্ষুদ্র, এমনকি সেটি যদি গত সপ্তাহের হয়, বিষয়টি হলো আপনার নেতিবাচক চিন্তাকে ইতিবাচক খাতে প্রবাহিত করা।

বিরতি নিন -বিচ্ছিন্ন থাকুন

প্রযুক্তির এই যুগে আপনাকে এক অর্থে ২৪/৭ দিন কাজের মধ্যে থাকতে হয়। যা অবিরাম চাপের সৃষ্টি করে আপনার ওপর। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রযুক্তি আপনাকে ২৪/৭ দিন রেখেছে সহকর্মীদের হাতের নাগালে। যার ফলে মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় বিশ্রামের সময় পাওয়া যায় না। গবেষণায় জানা গেছে, আপনার বিশ্রামের সময় একটি ই-মেইল ও আপনার চিন্তাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পারে। সহজ সমাধান হলো পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন থাকা। কিছু সময়ের জন্য হলেও সেলফোন বন্ধ রাখুন, ইন্টারনেটের আওতামুক্ত থাকুন। অর্থাৎ আপনাকে খুঁজে পাওয়ার সবগুলো মাধ্যম এড়িয়ে চলুন। এই পদ্ধতি একবারে প্রয়োগ করলে অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ধাপে ধাপে প্রয়োগ করুন। যেমন ছুটির দিন সকাল বেলা বা রাত ৮টার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকুন। এতে আপনার সহকর্মীরাও ক্রমান্বয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।

পর্যাপ্ত ঘুম

পর্যাপ্ত ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে কর্মক্ষেত্রে রাখে পরিষ্কার ও সতর্ক। ঘুম যেমন আপনার মানসিক অবস্থাকে সতেজ রাখে তেমনি চাপ মোকাবেলায়ও সাহায্য করে। ঘুমের মধ্যে আপনার মস্তিষ্ক রিচার্জ হয়, শুধু তাই নয় সারাদিনের ঘটনাগুলো স্মৃতিতে সংরক্ষণ বা বর্জন করে। আপনার আত্মনিয়ন্ত্রণ, মনোযোগ আর স্মৃতি সবই হ্রাস পায় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে। অপর্যাপ্ত ঘুম আপনার স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ নিজ থেকে বাড়িয়ে দেয় এমনকি যখন কাজের চাপ নেই তখনও।

নেতিবাচক কথা এড়িয়ে চলুন

সাফল্য অর্জনের প্রধান শর্তই হলো ইতিবাচক চিন্তা। কাজেই চিন্তায় ইতিবাচক হোন। আমরা প্রায়ই নিজের সঙ্গে কথা বলি, নিজেকে জিজ্ঞেস করি নানা প্রশ্ন। যখনই দেখবেন ভেতর থেকে কোন ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নেতিবাচক উত্তর আসছে তা নিয়ন্ত্রণ করুন। নেতিবাচক চিন্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনে সফল হলে সহজেই ইতিবাচক পথে অগ্রসর হতে পারবেন। প্রতিটি সফল মানুষই তা করে থাকেন।

সর্বশেষ সংবাদ

লাইফ এর আরও সংবাদ