বর্ধমানে বিস্ফোরণের অভিযুক্ত বুরহান আটক


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১৭, শুক্রবার  | দুপুর ০১:০৮ এশিয়া

ই-বার্তা।। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত বুরহান শেখকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার মুচিপাড়া থানার বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকে পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর বুরহানকে কলকাতার মুচিপাড়া থানা থেকে কলকাতা পুলিশের মুখ্য কার্যালয় লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শুক্রবার তাঁকে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে তোলার কথা রয়েছে।

এর আগে বুরহান শেখকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তিন লাখ রুপি ঘোষণা করে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ হওয়ার পর থেকে বুবহানকে খুঁজছিল পুলিশ। তবে পলাতক থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। বুরহান বর্ধমান জেলার শিমুলিয়ায় দীর্ঘদিন অবস্থান করেছেন। পাশাপাশি তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার রানীতলায়ও যেতেন।

ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের তালিকায় এখনো পলাতক রয়েছেন তলহা শেখ, কৌসর ও ইউসুফ নামের তিন ব্যক্তি। তাঁদের ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের ধরিয়ে দিতে ছবি দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে পুরস্কার ঘোষণা করে।

সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ভারতের আসাম রাজ্য থেকে খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের একজন নাসির ওরফে নাসিরুল্লাহ। তিনি ওই বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। গ্রেপ্তার পাঁচজনের নামও ছিল এনআইএর অভিযোগপত্রে।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়। স্থানীয় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে গোপনে সেখানে বোমা বানানোর সময় হঠাৎ আইইডি (ইম্প্রোভাইজ এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণ ঘটে।

তদন্তে জানা যায়, শুধু পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলাতেই নয়, রাজ্যের একাধিক জায়গায় জঙ্গিরা আস্তানা খুলে রেখেছে। এরপর তদন্তে নেমে এনআইএ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদা, বীরভুম ও আসাম রাজ্যের বরপেটা, সাহিবগঞ্জ ও ঝাড়খন্ড রাজ্যের পাকুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠীর হদিস পায়।

খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় এনআইএ। ২০১৫ সালের মার্চে ১৬৪ পাতার ওই অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতে বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইনের পাশাপাশি দেশদ্রোহিতা, প্রতারণা, বিস্ফোরক মজুদ, অস্ত্র আইনসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে এনআইএ।

সর্বশেষ সংবাদ

এশিয়া এর আরও সংবাদ