আশুলিয়ায় গ্রাহকের হাতে এনজিও মাঠকর্মী খুন, আটক ২


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২০শে অক্টোবর ২০১৭, শুক্রবার  | দুপুর ০১:০৭ ঢাকা বিভাগ

ই-বার্তা।। শরিফ রুবেল।। সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় নিখোঁজের ছয় দিন পর বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আশার এক নারী মাঠকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে ঋণগ্রহণকারীরা হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত সাবিনা ইয়াসমিন উর্মি (৩০) গাইবান্ধা সদর থানার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। তিনি সাভার উপজেলার আশুলিয়ার চক্রবর্তী এলাকায় স্বামী জাহিদ হাসানের(৩৬) এর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে আশার মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। আশুলিয়া থানার এসআই আশরাফুল আলম ই-বার্তাকে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কবিরপুর দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে বুধবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দেওয়ানপাড়ার মোসলেম হোসেন (৩৮) ও তার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার (৩৫)। তারা দুইজন আশার গ্রাহক। এসআই আশরাফুল বলেন, গত বৃহস্পতিবার সাবিনা মোসলেমের বাড়িতে ঋণের টাকা উত্তোলনের জন্য যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন রাতেই আশা কর্তৃপক্ষ আশুলিয়া থানায় জিডি করে।

“সাবিনার মোবাইল ফোন সর্বশেষ ব্যবহৃত হয় মোসলেমের বাড়ির আশপাশে। তদন্ত শেষে বুধবার মোসলেম ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। রাতেই তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোসলেমকে সঙ্গে নিয়ে দেওয়ানপাড়া বাংলাদেশ বেতারের সীমানার পাশে ঝোপের ভেতরে মাটি খুঁড়ে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান এসআই আশরাফুল।

তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে আশা থেকে প্রায় এক লাখ টাকা ঋণ নেন মোসলেম। ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় সাবিনা তাদের চাপ দিচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার কিস্তি উত্তোলনের জন্য মোসলেমের বাড়িতে যান সাবিনা। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মোসলেম ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। লাশটি প্রথমে ড্রামে ভরে রাখা হয়।

রাত আনুমানিক ১টার দিকে তারা বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে ঝোপের ভেতর মাটি খুঁড়ে লাশটি পুঁতে রাখা হয়। এসআই আশরাফুল বলেন, ঘটনার দিন সাবিনা বিভিন্ন সদস্যের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি বাবদ প্রায় দুই লাখ টাকা উত্তোলন করেছিলেন, যা খোয়া গেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে আশা কর্তৃপক্ষ। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিভাগ এর আরও সংবাদ