বংশগত ডিএন-এ ত্রুটি সংশোধনরে প্রযুক্তি আবিষ্কার


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৩১শে অক্টোবর ২০১৭, মঙ্গলবার  | দুপুর ১২:১১ অন্যান্য

ই-বার্তা ।। ডিএনএ একটি নিউক্লিক এসিড। যার পুরো নাম ডিঅক্সি রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড এবং এর কাজ জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। জীববিজ্ঞানে কোনো জীবের জিনোম বলতে সেটির সমস্ত বংশগতিক তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা সেটির ডিএনএতে সংকেতাবদ্ধ থাকে।

সম্পূর্ণ একটি জিনকে বলা হয় জিনোম। আর জিনোমে প্রায় ৬০০ কোটি ডিএনএ রাসায়নিক ভিত্তি থাকে। আর এই ডিএনএ নিয়ে গবেষণা করে দারুণ এক সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ব্রড ইনস্টিটিউ অব এম আইটি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষকের এ সংক্রান্ত দুটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক নেচার সাময়িকীতে।

এই গবেষণার সাফল্য কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি এমন বংশগত রোগের সমাধানের আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, আবিষ্কৃত কৌশল ব্যবহার করে কোটি কোটি ডিএনএ রাসায়নিক ভিত্তির ত্রুটি সংশোধন করা সম্ভব হবে।

এমনই একটি বংশগত রোগ কিস্টিক ফিব্রোসিস বা বংশগত অন্ধত্ব। ডিএনএর চারটি ভিত্তি এডেনিন (এ), কিস্টোসিন (সি), গুয়ানিন (জি) এবং থায়েমিন


(টি) এর যে কোনো একটি ভিত্তির ভুল করে নিজের জায়গা ছেড়ে অন্যত্র যুক্ত হয়ে গেলে রোগ সৃষ্টি হয়। এই ধরনের বংশগত রোগের চিকিত্সার জন্য বিজ্ঞানীরা এখন ডিএনএর এই ভিত্তি সম্পাদনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে চান। অর্থাৎ কোনো ভিত্তি অন্যত্র যুক্ত হলে সেখান থেকে সেটিকে সম্পাদনা করে জায়গা মতো স্থাপন করতে পারলেই বংশগত সেই রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

ব্রড ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডেভিড লিউ বলেন, মানব দেহের রোগের চিকিত্সার জন্য ডিএনএর ভিত্তি সম্পাদনের কৌশল নিয়ে আমরা জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে মানবদেহের নিরাপত্তা এবং বাস্তবায়নের জন্য এটি এখনো যথেষ্ট পরিমাণ অগ্রগতি হয়নি। সেটি নিশ্চিত করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

অন্যদিকে দ্বিতীয় কৌশলটি কাজ করবে রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা আরএনএতে। এটি নিয়ে কাজ করেছেন ব্রড ইনস্টিটিউটের আণবিক জীববিজ্ঞানীরা। এই কৌশল ব্যবহার করে আরএনএ সম্পাদনা করা যাবে। নতুন কৌশল অনুযায়ী ডিএনএ পরিবর্তন না করেই আমিষ বা প্রোটিন তৈরির জন্য জিনগত নির্দেশনা বহন করতে পারবে আরএনএ।

সূত্রঃ বিবিসি।

সর্বশেষ সংবাদ

অন্যান্য এর আরও সংবাদ