আজকের হেলথ টিপস- প্রোস্টেট গ্রন্থি


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৬ই নভেম্বর ২০১৭, সোমবার  | বিকাল ০৫:৫৫ মেডিকেল

প্রোস্টেট নামক অঙ্গটির সঙ্গে আমরা পরিচিত। প্রোস্টেটের ফুলে যাওয়া বা হাইপারট্রফি রোগটির সঙ্গেও আমরা পরিচিত। শুধু পুরুষদেহে অবস্থিত এ গ্রন্থিটি। প্রোস্টেট ত্রিকোণাকার, মাংসলবিশিষ্ট। অসংখ্য ক্ষুদ্র থলেসমৃদ্ধ এই অঙ্গটি মূত্রাশয়ের নিচে অবস্থিত। লালচে, বাদামি বর্ণের প্রোস্টেট প্রায় পানপাতার মতো, ৮ সে.মি. ওজনবিশিষ্ট এবং সংখ্যায় মাত্র একটি।

প্রোস্টেটের ভেতর দিয়ে মূত্রনালি গিয়ে পুরুষাঙ্গে প্রবেশ করে। এই মূত্রনালিকে বলে ইউরেথ্রা। প্রোস্টেট নিঃসৃত রসকে বলে প্রোস্টাটিক ফ্লুইড। পুরুষদেহের বীর্যের অন্যতম উপকরণ হলো এই ফ্লুইড বা রস। এই রস কিছুটা ক্ষারধর্মী। এতে থাকে এসিড ফসফেট ও জিঙ্ক। এই দুটো রাসায়নিক পদার্থের কারণেই বীর্য নারীর প্রজননতন্ত্রে প্রবেশের পর দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকে। ৪৫ বছরের পর থেকে এই গ্রন্থিটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন পরিবর্তন হতে থাকে। পঞ্চাশোর্ধ্ব বা তারও বেশি বয়সে প্রোস্টেট গ্রন্থিতে অতিরিক্ত গ্রন্থির জন্ম হয়।

দেহের অন্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ না করলে প্রোস্টেটে মাত্রাতিরিক্ত গ্রন্থির জন্ম হয়, যা পরে টিউমারে রূপ নেয়, আকৃতিতে বিশাল হয়ে ওঠে। তখন অপারেশনের প্রয়োজন হয়। এই অবস্থার নাম বেনাঈন ইনলার্জমেন্ট অফ প্রোস্টেট। তবে সবার এই সমস্যা হয় না।

গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নে আমাদের করণীয়-
১। পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। দেহের প্রতিটি গঠনতন্ত্রের জন্যই পানির উপকারিতা অনেক।
২। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মানুষের দৈহিক চেকআপ করানো উচিত। পাশাপাশি নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই।
৩। পুরুষদের জন্যও জন্মনিরোধক ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ দিন এসব খাবেন না।
৪। ভ্যাসেকটমি অপারেশন (পুরুষদের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি) করানোর জন্য ভালো হাসপাতালে যান।
৫। নৃত্যশিল্পী, খেলোয়াড়েরা স্টেরয়েড (শক্তি বৃদ্ধির জন্য হরমোন) গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
৬। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এক্স-রে করাবেন না। এক্স-রে রশ্মি দেহের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।
৭। প্রস্রাব নিঃসরণে জটিলতা দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

মেডিকেল এর আরও সংবাদ