স্মার্ট কার্ড পেতে চরম ভোগান্তিতে খুলনাবাসী


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৭শে নভেম্বর ২০১৭, সোমবার  | দুপুর ০২:৪৯ খুলনা

ই-বার্তা ।। খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এলাকায় স্মার্ট কার্ড পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাজার হাজার লোকের দীর্ঘ সময়ে লাইনে থেকেও স্মার্ট কার্ড মিলছে না। এদিকে জনবল সংকট, ল্যাপটপ, ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং চোখের আইরিশের ছবি নেয়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক না থাকায় অব্যবস্থাপনাও হচ্ছে।

অনেকের আগের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে স্মার্ট কার্ডের হুবহু মিল না থাকারও অভিযোগ রয়েছে। অনেক নতুন ভোটারের বাবা-মা এবং স্থায়ী ঠিকানা ভুল প্রিন্ট হয়েছে। বয়স্ক ও রোগীদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই। সব মিলিয়ে স্মার্ট কার্ড পেতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে নগরবাসী। কেসিসির আওতাভুক্ত খুলনা সদর, দৌলতপুর ও সোনাডাঙ্গা থানায় জাতীয় পরিচয়পত্রধারী গ্রাহক রয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৩ জন। এর মধ্যে স্মার্ট কার্ড পাবে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৯৭ জন। তথ্যগত ভুলের কারণে ৫৭ হাজার ৫৭৬ জন গ্রাহকের স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট না হওয়ার কারণে তারা কার্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ জুলাই থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়। ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল কেসিসিতে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শেষ হবে। ২০ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর খুলনা সদর থানার ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৬২ জন, ১ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানা এলাকায় ৭১ হাজার ২২২ এবং ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার ২ লাখ ৬ হাজার ৩১৩ জন গ্রাহক স্মার্ট কার্ড পাবেন। সরেজমিন শনিবার ও রোববার দৌলতপুর থানা এলাকায় স্মার্ট কার্ড বিতরণে চরম ভোগান্তির বিষয়টি নজরে আসে। নগরীর দেয়ানা এলাকার শফিকুল ইসলাম, হাতেম আলী, বাবুসহ একাধিক গ্রাহক দীর্ঘসময় টোকেন নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কম্পিউটারে পরীক্ষার পর জানতে পারেন তাদের স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়নি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, তথ্যগত ভুলের কারণে অনেকেরই স্মার্ট কার্ড হয়নি। তাদের পরে দেয়া হবে। ওই এলাকার নূর ইসলাম নামে এক যুবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে স্মার্ট কার্ডের স্বাক্ষরে মিল নেই। নতুন ভোটার হওয়া নেওয়াজ রাব্বী নামে তার বাবা-মায়ের নাম সম্পূূর্ণ ভুল এসেছে। এদিকে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের ল্যাপটপসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের ঘাটতি থাকায় তারা প্রত্যাশিত সংখ্যায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ করতে পারছেন না।

জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুচ আলী বলেন, ‘তথ্যগত কারণে অনেকের স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়নি। তাদের স্ব স্ব থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। তিনটি ইউনিট একত্রে হয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে।’

সর্বশেষ সংবাদ

খুলনা এর আরও সংবাদ