যেকোনো সময় পাকিস্তান-ভারত পরামাণু যুদ্ধ!

ই-বার্তা ডেস্ক।।  পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় শুক্রবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান।  কাশ্মির সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার মধ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ভারতের দুটি বিমান গুলি ভূপাতিত করে পাকিস্তান।  এ সময় তাকে আটক করা হয় অভিনন্দনকে।   

এদিকে চলতি বছরে ২৩ জানুয়ারি রিপাবলিক ডে প্যারেডে ভারত মার্কিন প্রযুক্তির অত্যাধুনিক এম৭৭৭ কামান প্রদর্শন করে।  সামরিক স্থাপনা সেনা সংখ্যা, জেট বিমান, ট্যাংক ও হেলিকপটারের দিক থেকে ভারত পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। 

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটেজিক স্টাডিজের মতে, পাকিস্তানের ১০ লাখ সেনার বিপরীতে ভারতের ৩০ লাখ সেনা রয়েছে।  চীনের সাথে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত থাকায় নয়াদিল্লি তাদের সব সেনাকে একসাথে পশ্চিম সীমান্তে পাঠাতে পারে না।  অস্ট্রেলিয়ার বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও গ্রিফিথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের বর্তমান কর্মকর্তা পিটার লেটন বলেন, ‘ভারতকে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে অনেক বেশি ভাবতে হয়।  এটি তার বাহিনীকে সংখ্যার দিক থেকে বিভক্ত করে দেয়।  চীনের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে ভারতকে সবসময় বিশালসংখ্যক সেনাকে এই সীমান্তের জন্য রাখতে হয়।’

১৯৬২ সালে ভারত ও চীন একটি রক্তাক্ত সীমান্ত যুদ্ধ হয়।  যার রেশ চলেছে দীর্ঘ দিন।  অতি সম্প্রতি ২০১৭ সালে ডোকলাম এলাকায় চীনের সাথে ভারতের ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। 

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভিজিটিং ফেলো নিশঙ্কমোতওয়ানি বলেন, ‘চীন ও পাকিস্তানের কৌশলগত মিল চলছে পাঁচ দশক ধরে।’ ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনে ডিসেম্বরের আলোচনার তথ্য অনুযায়ী, চীন পাকিস্তানের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী হিসাবে আরেকটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বেইজিংয়ের সমরাস্ত্র রফতানির ৪০ ভাগ ইসলামাবাদে যাচ্ছে।

আবার পাকিস্তান যখন চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে, তখন ভারত তার প্রতিরক্ষা বাজেট পাকিস্তানের আকারের ছয়গুণ বাড়িয়েছে।  ভারত তার বাহিনীকে দ্রুত আধুনিকায়নের চেষ্টা করছে। ভারতের আরো খরচের সক্ষমতা রয়েছে কিন্তু পাকিস্তানের তা নেই। 

কিন্তু ভারত ও পাকিস্তান একটি জায়গাতে একই অবস্থানে আছে।  সেটি হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্র। দেশ দুটির মধ্যে যখন উত্তেজনা তৈরি হয় তখন এই অস্ত্রের ব্যবহারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।  স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানের ১৪০ থেকে ১৫০টি এবং ভারতের ১৩০ থেকে ১৪০টি পারমাণবিক ওভারহেড রয়েছে। 

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু