খাতা মূল্যায়নে ভিন্নতাই এসএসসির পাশের হার কমার কারণ


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১১ই মে ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার  | দুপুর ০১:৪৪ অন্যান্য

ই-বার্তা ডেস্ক।। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার নতুন পদ্ধতি হিসেবে পরীক্ষকদের সামনে ‘মডেল উত্তরপত্র’ সরবরাহ করা হয়েছিল। এই পদ্ধতিতে সকল পরীক্ষার খাতা মডেল উত্তরপত্র অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হয়েছে। মডেল উত্তরপত্র থাকায় আগের চেয়ে ঢালাও পাসের হার কমেছে বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

পাশের হার কমলেও শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় গুণগত এই পরিবর্তন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক। এই পদ্ধতির ফলে ঢালাও নম্বর দেয়া বন্ধ হয়েছে। কাউকে অতিমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন করা হয়নি। শিক্ষকরাও যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে খাতা মূল্যায়ন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যায়, পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে এতদিন কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা ছিল না। পরীক্ষকরা নম্বর দিতেন তাদের ইচ্ছা মতো।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চলতি বছরের শুরুতে উত্তরপত্র মূল্যায়নের একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি চালু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর উদ্দেশ্য হলো, উত্তরপত্র মূল্যায়নে নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে আসা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসএসসির প্রধান পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় মাস্টার ট্রেইনারদের দিয়ে। এ সময় তাদের প্রতিটি প্রশ্নের সঙ্গে একটি নমুনা উত্তরপত্রও দেওয়া হয়। প্রধান পরীক্ষকরা আবার তাদের অধীনে থাকা পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন।
এ ছাড়া দুই বছর আগে পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক অংশের পূর্ণমান ছিল ৫০ নম্বর। গত বছর তা কমিয়ে ৪০ করা হয়। এ বছর তা আরও ১০ নম্বর কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হয়। নতুন এই পদ্ধতির প্রভাব পড়েছে এবারের ফলাফলে।
এবারের নতুন পদ্ধতিতে ফলাফল মূল্যায়নের পর দেখা গেছে, দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটিতেই পাসের হার গতবারের চেয়ে কমেছে। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা গত সাতবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

সর্বশেষ সংবাদ

অন্যান্য এর আরও সংবাদ