ই-বার্তা ।। বাবার বন্ধুদের হাতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের বারাসতে।

মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি বাবু দাস, শ্যামল পাল এবং সঞ্জীব দাসকে গ্রেফতার করেছে বাকি একজন অভিযুক্ত মিলন দাস এখনও পলাতক আছে।

এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত বাবু দাসের খাবারের দোকানে ভাঙচুর চালায়।

স্থানীয়রা জানান, নির্যাতিতার বাবা উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা সদর বারাসতে একটি বাগানবাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। বছর খানেক আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পর বাবা এবং মেয়ে এই বাগানবাড়িতেই থাকেতেন। তার পাশেই অভিযুক্ত বাবু দাসের একটি খাবারের হোটেল রয়েছে। এলাকায় থাকার সূত্রে বাবুর সঙ্গে পরিচয় নির্যাতিতার বাবার। অভিযুক্ত চার জন নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে মদপানও করতেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাবুর সাহায্যে নির্যাতিতার বাবাকে নেশাগ্রস্ত করে বেহুঁশ রেখে দীর্ঘ দিন ধরেই নাবালিকার উপরে যৌন নির্যাতন চালাত অভিযুক্তরা।

এসময় ঘরের মধ্য থেকে মিলন পালিয়ে যায়। বাবু দাসকে তারা আটকে রাখেন। পরে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। নির্যাতিতার বাবা পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মঙ্গলবার সকালে এলাকার মানুষ সঞ্জীব দাসকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

মঙ্গলবার তিন অভিযুক্তকেই হাজির করা হয় বারাসত আদালতে। গ্রেফতারকৃতদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।