আসছে ঘূর্ণিঝড়


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৪ঠা অক্টোবর ২০১৭, বুধবার  | দুপুর ০১:১২ অন্যান্য

ই-বার্তা ।। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বৃষ্টি-বাদলের পরিমাণ এ বছর ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কে বলা হয় বর্ষাকাল। এ বছর এই চার মাসে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। অথচ ২০১৬ সালে বৃষ্টি হয়েছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কম। এক বছরের ব্যবধানে বৃষ্টি হয়েছে ২২ শতাংশ বেশি বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম এম আমানত উল্লাহ খান বলেন, ভবিষ্যতে বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পেলে আসতে পারে বিপদ। তিনি আরও বলেন, গতবার বৃষ্টি কম হয়েছে। এবার বেশি হয়েছে। এমন হতেই পারে। এটিকে অস্বাভাবিক কোনো কিছু মনে হচ্ছে না। তবে আগামী বর্ষা মৌসুমে বা পরের কয়েক বছর বর্ষাকালে বেশি বৃষ্টি হলেই হবে বিপদ।

অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এবার অক্টোবরের প্রথমার্ধে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। কিন্তু এর পরপরই কয়েকটি নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

অক্টোবর-নভেম্বর মাসকে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ সময় বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরের মতো ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছিল উল্লেখ করেন তিনি।

আবুল কালাম মল্লিক তার সাক্ষাতকারে আরও বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বরের পর দিনের ব্যাপ্তি কমে রাত বড় হয়। এ সময় সূর্য বঙ্গোপসাগরে লম্বভাবে কিরণ দেয়। আন্দামান সাগর বা এর আশপাশের অঞ্চলে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ জলীয় বাষ্পসহ শক্তিসঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে থাকে। কিন্তু সাগর উপকূলের কাছাকাছি সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না। উপকূলে আঘাত হানার আগেই এ ধরনের নিম্নচাপ বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বৃষ্টিপাতের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। আবহাওয়া অধিদপ্তরের জানায়, গত বছরের জুন মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু জুলাই মাসে ১৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়। পরের দুই মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আবার বৃষ্টির মাত্রা কমে যায়। আগস্ট ২ দশমিক ২ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

অন্যান্য এর আরও সংবাদ