গর্ভবতী অবস্থায় মেকআপের ফল- প্রতিবন্ধী শিশু


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৯শে অক্টোবর ২০১৭, রবিবার  | বিকাল ০৪:১১ মেডিকেল

ই-বার্তা হেলথ।। গর্ভ ধারণ করা মাত্রই মেকআপ করা ও সব ধরণের প্রসাধনী থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন গাইনি বিশেষজ্ঞরা। নাহলে পেটের সন্তানের প্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস প্রসাধনী ও ওষুধ থেকে দূরে থাকার জন্য বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এসময় গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্ক গঠিত হয়, এজন্য প্রসাধনীর রাসায়নিক উপাদানের সংস্পর্শে আসলে সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়া এবং স্বাস্থ্যহানীর আশঙ্কা প্রকট। আসুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন গর্ভকালীন সময়।

- লিপস্টিক, লিপ গ্লস, লিপ বাম, আইলাইনার, মাসকারা, ডিওডোরেন্ট, ফাউন্ডেশন, বডি অয়েল, ট্যালকম পাউডার, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম এবং হেয়ার ডাই গর্ভবতী নারীর জন্য বয়ে আনতে নানাবিধ দুঃসংবাদ। এদের মধ্যে আছে গর্ভপাত, বন্ধ্যাত্ব, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, রক্তে হরমোন ও অন্যান্য উপদান সরাসরি নিঃসরণকারী গ্রন্থির ক্ষতি, অপুষ্ট শিশু প্রসব করা, জন্মদোষ, নবজাতকের স্নায়বিক ক্ষতি, ডিম্বাশয়ে ক্যান্সার এবং ত্বকের নানাবিধ অ্যালার্জি।

- সবচাইতে ক্ষতিকর হল ব্রণ সারানোর ক্রিম ও জেলজাতীয় প্রসাধনী। ক্রিমে থাকে ‘রেটিনয়েডস’ যা গর্ভপাত এবং গর্ভের শিশুর অস্বাভাবিক মস্তিষ্ক বিকাশেল জন্য দায়ী। তাই গর্ভাবস্তায় ব্রণ সারানো ক্রিম একদম বন্ধ রাখুন।

- সাবান ও অন্যান্য ব্যক্তিগত পরিষ্কারক প্রসাধনীতে ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল’ উপাদান হিসেবে ব্যববহার করা হয় ‘ট্রিইক্লোসান’ ও ‘ট্রাইক্লোকারবান’। এই উপদানগুলো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী।

- সাবান, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারে থাকা আরেকটি ‘প্রিজারভেটিভ’ সংরক্ষণকারী উপাদান হল ‘পারাবেনস’, যা ব্যাকটেরিয়া বিস্তার রোধ করে। তবে এর অতিরিক্ত মাত্রা নারীর সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমায়।

- নেইল পলিশে থাকা ‘ফরমালডিহাইড’ ও অন্যান্য উদ্বায়ী জৈব উপাদান নবজাতকের জন্মগত সমস্যা এবং নারীর উর্বরতা কমাতে পারে।

- নখে চকচকে ভাব আনার জন্য একটি বহুল ব্যবহৃত দ্রাবক হল ‘টোলুইন’। এটি শরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং প্রজনন ক্ষমতা কমায়।

- প্রায় সকল প্রসাধনীতে ‘ফ্যালেইটস’ নামক রাসায়নিক উপদান পাওয়া যায়, যা হরমোনের মাত্রায় তারতম্য ঘটায়, নারীর উর্বরতা কমায় এবং মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে মিশে যায়।

তবে তার মানে এই নয় যে আপনি একেবারেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ছেরে দিবেন। বরং এসময় পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই জরুরী। আপনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে আপনার মন ভালো থাকবে যা অনাগত শিশুর জন্য খুবই জরুরী। তাই নিজের চিকিৎসকের পরামর্শে প্রশাধনী ব্যবহার করুণ। এরকম সাবান, শ্যাম্পু ও লোশন ব্যবহার করুণ যাতে ক্ষতিকর উপাদান কম থাকে।

সর্বশেষ সংবাদ

মেডিকেল এর আরও সংবাদ