মোনা লিসা নিয়ে কিছু অজানা কথা


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১৯শে এপ্রিল ২০১৭, বুধবার  | বিকাল ০৪:২১ ইউরোপ

ই-বার্তা ডেস্ক।। পৃথিবীতে এমন অনেক কম মানুষ আছেন, যাঁদেরকে মৃত্যুর পর তাঁদের জীবিতাবস্থায় কৃতকর্মের জন্য শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। লিওনার্দো দা-ভিঞ্চি তাঁদের মধ্য অন্যতম। ইতালির ভিঞ্চি নামক স্থানে ১৫ এপ্রিল ১৪৫২ তারিখে তাঁর জন্ম হয়। আসলে লিওনার্দো দা-ভিঞ্চির নামের মধ্যে ভিঞ্চি শব্দটি তাঁর নাম নয় বরং তাঁর জন্মস্থান।

পৃথিবীতে সবথেকে রহস্যময় চিত্রকর্ম হল লিওনার্দো দা-ভিঞ্চির মোনা লিসা। যেটি সত্যি মানুষকে ভাবতে বাধ্য করে। এই পেইন্টিং টি আলাদা আলাদা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখলে মোনালিসার হাসির পরিবর্তন দেখা যায় অথচ যা একটি স্থির চিত্রে সম্ভব নয়।

মোনালিসা কোন মেয়ের নাম নয়। ইংরেজিতে এটি লেখার সঠিক বানান হল, ‘Monna Lisa’। এটি একটি ইটালিক সম্বোধন যার অর্থ “My Lady”।

এই শিল্পকর্মটি নষ্ট করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল কিছু মানুষ।উগো উঙ্গাজা ভিলেগাজ নামের একজন বোলিভিয়ার অধিবাসী ১৯৫৬ সালে মোনা লিসাতে পাথর ছুঁড়ে মারেন। খুব ভালোমতো খেয়াল করলে দেখতে পারা যায়, মোনা লিসার বাম হাতের নিচের দিকে একটি দাগ এখনো রয়ে গেছে। তার মাসখানেক আগেই আরেকজন লোক শিল্পকর্মটির উপরে এসিড ছুঁড়ে মারেন যা শিল্পকর্মটির নিচের অংশের কিছুটা নষ্ট করে দেয়।

আবার মোনা লিসার জন্য অনেকেই জীবনও দিয়েছেন। ১৮৫২ সালে লুক মাসপেরো নামের একজন আর্টিস্ট একটি হোটেলের চতুর্থ ফ্লোর থেকে লাফ দিয়ে নিজের প্রাণ দেন। তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখে রাখেন যেখানে লেখা ছিল, “অনেক বছর ধরে তাঁর হাসি আমাকে জর্জরিত করছে, মৃত্যুই আমার জন্য সঠিক”। আবার ১৯১০ সালে মোনা লিসায় প্রেমমুগ্ধ এক ভক্ত মোনা লিসার সামনে এসে নিজের মাথায় গুলি করে প্রাণ দেন।

মোনালিসার এই পেইন্টিং কোন কাগজ বা কাপড়ের উপর করা হয়নি বরং এটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি বিশেষ প্রজাতির কাঠের। অতি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এই শিল্পকর্মটি কে তিনটি লেয়ারে আলাদা করে এর মাঝে একটি বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। লিওনার্দো দা-ভিঞ্চি তাঁর সমস্ত শিল্পকর্মে গোপন মেসেজ রাখতেন। মোনা লিসায় সাংকেতিক ইটালিক ভাষায় একটি লেখা আছে যার ইংরেজি অর্থ, “The Answer is Here”। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি মোনা লিসা কে মিরর ইমেজ দিয়ে পাশাপাশি স্থাপন করলে তাঁর দুটি ছবির দুই কাঁধের মাঝামাঝিতে একটি চেহারা ভেসে উঠে। যা কোন স্বাভাবিক মানুষের চেহারা বলে মনেই হয়না বরং মনে হতে পারে এটি একটি এলিয়েন। সাংকেতিক ভাষায় লেখাটি ঠিক সেই স্থানেই রয়েছে যে স্থানে ঐ চেহারা টি ভেসে উঠে। অনেক গবেষক অনেক বছর গবেষণা করেও যখন বের করতে পারেননি কে এই মোনা লিসার মেয়েটি, ঠিক তখনই যেন তাঁদের গবেষণা কে আরও জটিল করতে এবং তাঁদের আরও ভাবিয়ে তুলতে দেখা মিলল এই এলিয়েনের!

সর্বশেষ সংবাদ

ইউরোপ এর আরও সংবাদ