জিতেও সাবেক সতীর্থদের জন্য কষ্ট হচ্ছে আলভেসের


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২০শে এপ্রিল ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার  | সন্ধ্যা ০৬:১৬ ফুটবল

২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্টাস ও বার্সেলোনা। ইনজুরি সময়ে গোল করে গ্যালারির দিকে ছুটলেন নেইমার, গায়ের জার্সি খুলে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের সেই কী উল্লাস! দুই বছর পর আবারও ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হলো ইতালি ও স্পেনের দুই জায়ান্ট। আর দুই বছর আগের উৎফুল্ল-উল্লসিত নেইমার এদিন শেষ বাঁশি বাজার পর ভেঙে পড়লেন, মাঠ ছাড়লেন কান্নায় বুক ভাসিয়ে। আর সাবেক সতীর্থদের এ কষ্ট দেখে জয়ের আনন্দ কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল দানি আলভেসের।

বছর দুয়েক আগে মেসি-নেইমারদের সঙ্গে শিরোপায় চুমু খেয়েছিলেন আলভেসও । কিন্তু গত বছর ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে যোগ দেন জুভেন্টাসে। যেই ক্লাবের সঙ্গে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন সেই বার্সাকে বিদায় করতে রক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আলভেস। তবে বুধবার দ্বিতীয় লেগ শেষে যখন বিষণ্নমুখে মেসি-ইনিয়েস্তারা মাঠ ছাড়ছেন তখন তার মনের অনুভূতি ছিল ভিন্ন রকম। বিশেষ করে নেইমারের কান্না থামাতে গিয়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান রাইট ব্যাক। তার চোখেমুখেও ফুটেছিল কষ্টের ছাপ।

ম্যাচ শেষে পুরানো ক্লাবের বিপক্ষে আলভেস জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘এটা ছিল খুব কঠিন ব্যাপার। আমরা জানতাম ম্যাচটা কঠিন হতে যাচ্ছে। হ্যা, আমি আমার দল ও সতীর্থদের জন্য খুশি। অনেক ভালো সময় যেখানে কাটিয়েছি সেখানে ফেরার পর এমন অভিজ্ঞতা কষ্টকর। খুশির সঙ্গে দুঃখও লাগছে। কারণ আমার বন্ধুরা দুঃখ পাচ্ছে। অদ্ভুত এক অনুভূতি এটা। কিন্তু এটা এমনই। যদি উল্টোটা হতো তাহলে তারা আমার জন্য দুঃখ পেত।’

শেষ বাঁশি বাজার পর নেইমার যখন কাঁদছিলেন তখন তাকে গিয়ে সান্ত্বনা দেন আলভেস। জাতীয় দলের বন্ধুকে এমন অবস্থায় দেখে আবেগঘন হয়ে যান তিনি, ‘আমি বলেছি (নেইমারকে) এটাই জীবন। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের একে অপরকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এসব মুহূর্ত আমরা একসঙ্গে পেরিয়ে এসেছি, কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে আলাদা দলের হয়ে। এটা খুব কষ্টের।’ সূত্র- মার্কা

সর্বশেষ সংবাদ

ফুটবল এর আরও সংবাদ