টেস্টটিউব বেবি পদ্ধতি আসলে কি


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০১৭, রবিবার  | দুপুর ১২:২২ মেডিকেল

ই-বার্তা।। গতকাল ই-বার্তায় বন্ধ্যাত্ব বা ইনফারটিলিটি থেকে প্রতিকারের পরামর্শ দিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ও লেখক ডাঃ ফারহানা মোবিন। সেখানে আইভিএফ বা টেস্টটিউব বেবি পদ্ধতির কথা বলা হয়েছিল। অনেকেই ই-বার্তার কাছে এই পদ্ধতি সম্পর্কে বিষদ জানতে চেয়েছেন। তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডাঃ ফারহানা মোবিন।

আইভিএফ কোনো জটিল পদ্ধতি নয়। এখানে স্ত্রীকে ঋতুস্রাবের শুরু থেকে কতগুলো ইনজেকশন দেয়া হয়। যাতে তার ডিমগুলো বড় হয়, পরিপক্ব হয়। মাঝেমধ্যে ফলোআপ করতে হয়। আলট্রাসনোগ্রাম করতে হয়। রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে হয় যে ডিম বড় হচ্ছে কি না। যখন ডিমগুলো পরিপক্ব হয়, সেগুলোকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। বাইরে এনে স্বামীর শুক্রাণুর সঙ্গে মিলিয়ে ল্যাবে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। ভ্রূণ জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করে দেয়া হয়। এটা খুব বড় কিছু আমি বলব না। খুব ছোট পদ্ধতি। স্বাভাবিক সন্তান ধারণের মতোই।

কিন্তু যাঁরা বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা সন্তান চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে টেস্টটিউব বেবি নিতে চান না। এটিকে হয়তো সে রকম আপন করে নিতে পারেন না। অনেকের ধারণা থাকে টেস্টটিউব বেবি, তাই সম্পূর্ণ বিষয়টিই বোধ হয় টেস্টটিউবে হয়। আসলে ফার্টিলাইজেশন ছাড়া বাইরে কিছুই হচ্ছে না। জরায়ুর মধ্যে ভ্রূণটি স্বাভাবিক শিশুর মতো বড় হচ্ছে। এবং জন্মের পরও সে বাচ্চাটি স্বাভাবিক বাচ্চাদের মতোই হচ্ছে। জন্মগত কোনো ত্রুটি ছাড়া স্বাভাবিক বাচ্চা যে রকম হয়, টেস্টটিউব বেবিও সে রকম হয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে বয়স। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের যেমন ডিম ফোটা কমতে থাকে, এর মানও কমতে থাকে। আমাদের দেশে অনেকেই টেস্টটিউব বেবি অপশনকে একেবারে শেষে রাখেন। যদি কোনোভাবেই কিছু না হয় সেক্ষেত্রে টেস্টটিউব বেবি নিতে মত দেন। কিন্তু এই পদ্ধতিতেও একটা সফলতার বিষয় রয়েছে। এটা নির্ভর করে ডিমের মান কেমন, শুক্রাণুর মান কেমন, জরায়ু কেমন, জরায়ু একে ধরে রাখতে পারবে কি না, পাশাপাশি ল্যাব টেকনোলজি এসবের ওপরে। তাই দেখা যায়, বয়স বড়লে ডিমের মান খারাপ হয়ে যায়। তখন সফলতার হার একদমই কমে যায়। আর মেয়েদের ৩০ বছরের পর ডিমের মান খারাপ হতে থাকে, সংখ্যাও কমে যায়। এ জন্য আমার পরামর্বশ, সবাইকে ৩০ বছরের মধ্যে পরিবার পূর্ণ করার জন্য। কোনোভাবেই যেন ৩৫ বছর পার না করে। সেক্ষেত্রে সফলতার হার কমে যায়।

সর্বশেষ সংবাদ

মেডিকেল এর আরও সংবাদ