সিনেমাস্কোপ আয়োজিত ’কাস্টিং ডিরেকশন’ কর্মশালার সমাপ্তি


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৫ই মে ২০১৭, শুক্রবার  | দুপুর ০২:২১ বিশ্ববিদ্যালয়

মোঃ রাফি আর রহমান।। ইউল্যাবের (ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ) চলচ্চিত্র শিক্ষানবিস কার্যক্রম "সিনেমাস্কোপ" আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কাস্টিং ডিরেকশন নিয়ে ২ মে মঙ্গলবার শুরু হওয়া কর্মশালা
৪ মে বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।

কাস্টিং ডিরেকশন নিয়ে আয়োজিত এই কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ফেসকার্ড প্রোডাকশন হাউজের কাস্টিং ডিরেক্টর আয়শা মনিকা।

কাস্টিং ডিরেক্টর আয়শা মনিকা তার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে পুরো কার্মশালাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ‘সৃজনশীল কাজ কখনও আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে হতে পারেনা। কর্মশালায় তার কাস্টিং ডিরেকশনে করা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একইপথে’ THE WAY BACK দেখানো হয়।

আয়শা মনিকা বলেন, ‘অ্যাক্টরকে দিয়ে অ্যাক্টিং করাতে হলে নিজেকে আগে বড় অ্যাক্টর হতে হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘স্ক্রিপ্ট ভালোমতো পড়তে হবে, চরিত্রগুলোকে নিজের অস্থিমজ্জায় নিতে হবে।’

কর্মশালার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে দুটি বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়। একজন কাস্টিং ডিরেক্টরের নজরে বিজ্ঞাপন দুটির চরিত্রের ভালো ও খারাপ দিকগুলো সুক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করা হয়।

বিজ্ঞাপনচিত্র বিশ্লেষণকে ভিত্তি করে আয়শা মনিকা বলেন, ‘আপনার ব্যাপারটা ধারণ করতে হবে আর ধারণ করলেই অ্যাক্টিং করা লাগেনা। আপনি বাস্তবে যা করতেন, ক্যামেরার সামনেও তাই করবেন। আপনি যখন নিজে ব্যাপারগুলো পরিষ্কার হবেন তখনই একজন সফল কাস্টিং ডিরেক্টর হয়ে উঠতে পারবেন।’

কর্মশালার তৃতীয় দিন সত্যেন সেনের গল্প অবলম্বনে আয়শা মনিকা ও সুমন আনোয়ারের নাট্যরূপ ও পরিচালনায় নাটক “ভাষাসন্তান” দেখান হয় এবং নাটকটি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সবশেষে কাস্টিং ডিরেক্টর আয়শা মনিকা বলেন, ‘একজন কাস্টিং ডিরেক্টরের কাজ এতোটা সহজ নয়, এটার জন্য রাত দিন পরিশ্রম করতে হয়।’ তিনি জানান, পরিশ্রম করেই তিনি আজ এই অবস্থানে আসতে পেরেছেন। একজন কাস্টিং ডিরেক্টরকে প্রচুর ধৈর্য শক্তির প্রমাণ দিতে হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সিনেমাস্কোপের বর্তমান প্রধান নির্বাহী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী বলেন, ‘কাস্টিং ডিরেকশন আমাদের জন্য পুরোপুরি অপরিচিত জায়গা। একটি প্রোডাকশনের জন্য কাস্টিং ডিরেকশন কতোটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তা আগে আমরা জানতাম না। এগুলোই আমরা সিনেমাস্কোপে অনুশীলন করে থাকি। সিনেমা তৈরীর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আমরা শিখি এবং অপরিচিত দিকের সাথে পরিচিত হই। আমাদের অতিথি বক্তারা তাঁদের নিজেদের জায়গা থেকে প্রতিষ্ঠিত এবং তাঁরা তাঁদের শুরুর দিকের অভিজ্ঞতাগুলো আমাদেরকে জানিয়ে থাকেন। আমাদের শিক্ষানবিস শিক্ষার্থীরা এই কর্মশালার মাধ্যমে শুধু নিজেদের জ্ঞানই সমৃদ্ধ করছে না বরং তারা মানুষের সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলছে।’

ই-বার্তা সংবাদ / সাজিদ/বাদল/

সর্বশেষ সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয় এর আরও সংবাদ