ই-বার্তা ডেস্ক।। সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে এমন দাবি করে রাবেয়া সুলতানা রুবি নামে আমেরিকা প্রবাসী এক বাংলাদেশি অনলাইনে একটি ভিডিও বার্তা ছেড়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার স্বামী ও জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্র অভিনেতার স্ত্রী সামিরার পরিবার চীনাদের দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।

সম্প্রতি বন্ধ থাকা সালমান শাহের হত্যা/আত্মহত্যার মামলাটি আবার পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। এবং এই মুহূর্তেই রাবেয়া সুলতানা রুবি নামের ওই নারীর দুই মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়েছে। ভিডিওতে তিনি বারবার সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন বিষয়টি যেভাবেই হোক, আবার যেন তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি যেভাবে পারেন আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষী দেবেন।

১৯৯২ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে সালমান শাহের সিনেমা জগতে অভিষেক। চার বছরের ক্যারিয়ারে তিনি মোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের ব্যবসা সফল সেরা ১০ চলচ্চিত্রের দুই, তিন ও চার নম্বরে আছে সালমান শাহ অভিনীত সিনেমা। বাংলা চলচ্চিত্রে তোলপাড় করা এই নায়ক ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। তিনি

আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশকে জানান তার স্ত্রী সামিরা। কিন্তু সালমান শাহের পরিবার একে হত্যা বলে আসছে। গত দুই দশকেও এই মামলার রহস্য উদঘাটন হয়নি। পুলিশ দুই দফা ময়নাতদন্ত করে একে আত্মহত্যাই বলেছিল। কিন্তু নারাজি আবেদন করেছে সালমান শাহের পরিবার। এই মৃত্যুতে সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী শুরু থেকেই সামিরাকে দায়ী করে আসছিলেন। ১১ জনের বিরুদ্ধে করা নীলা চৌধুরীর মামলায় ভিডিও বার্তা প্রচারকারী রাবেয়া সুলতানা রুবির নামও রয়েছে। এখন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইয়ে রয়েছে।

ভিডিওতে রুবি আরো জানান যে তাকেও খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রুবির ছোট ভাই রুমি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং রুমিকেও গলা টিপে খুন করা হয়েছে। এছাড়া রুবির খালু মুন্তাজ হাসানও জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন রুবি। নিজের হাজব্যান্ড সম্পর্কে রুবি বলেন, “আমার হাসবেন্ড চ্যাং লিং চ্যাং, জন চ্যাং নামে বাংলাদেশে পরিচিত ছিল। সাংহাই চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মালিক ছিল ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডে। আমার হাজবেন্ড ও সামিরার পুরো পরিবার সালমান শাহ্‌ ইমন কে খুন করাইছে”।
(দ্বিতীয় ছবিতে ভিডিও প্রকাশকারী রুবি)